Cell Cycle বা কোষ চক্র

Cell Cycle

কোষ চক্র (Cell Cycle):
কোষ চক্র হল একটি কোষের সৃষ্টি থেকে শুরু করে পরবর্তী বিভাজনের মাধ্যমে দুটি অপত্য কোষ বা (Daughter cell) সৃষ্টি পর্যন্ত সংঘটিত একটি ধারাবাহিক ও সুশৃঙ্খল ঘটনা বা প্রক্রিয়া। এই চক্রের মাধ্যমে একটি কোষ নিজেকে বৃদ্ধি করে, তার DNA-এর প্রতিলিপি (replicate) তৈরি করে এবং অবশেষে বিভাজিত হয়ে জিনগতভাবে অভিন্ন (genetically identical) দুটি অপত্য কোষ (Daughter Cell)-এ পরিণত হয়।

এই চক্রটি মূলত দুটি প্রধান পর্যায় নিয়ে গঠিত : ইন্টারফেজ এবং এম-ফেজ (মাইটোটিক ফেজ)।

১। ইন্টারফেজ (Interphase)

ইন্টারফেজ হল কোষ চক্রের প্রস্তুতিমূলক পর্যায়, যেখানে কোষটি তার বেশিরভাগ সময় ব্যয় করে। এ সময় কোষ, বিভাজনের জন্য প্রস্তুত হয়। ইন্টারফেজকে আবার তিনটি উপ-পর্যায়ে ভাগ করা যায়:

  • G₁-ফেজ (Gap 1 বা প্রাক-সিন্থেটিক ফেজ):
    • কোষটি সক্রিয়ভাবে বৃদ্ধি পায় এবং তার স্বাভাবিক কার্যাবলি সম্পন্ন করে।
    • নতুন প্রোটিন এবং কোষীয় অঙ্গানু (যেমন: মাইটোকন্ড্রিয়া, রাইবোজোম) তৈরি হয়।
    • এই ফেজের শেষে একটি গুরুত্বপূর্ণ চেকপয়েন্ট থাকে।
  • S-ফেজ (Synthesis বা সিন্থেটিক ফেজ):
    • এটি হল ইন্টারফেজের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়।
    • কোষের নিউক্লিয়াসে থাকা DNA-এর প্রতিলিপিকরণ (Replication) ঘটে।
    • এর ফলে, প্রতিটি ক্রোমোজোম এখন দুটি সিস্টার ক্রোমাটিডে (Sister Chromatid) পরিণত হয়, যা সেন্ট্রোমিয়ার নামক স্থানে সংযুক্ত থাকে।
    • DNA-এর পরিমাণ দ্বিগুণ হয়ে যায়।
  • G₂-ফেজ (Gap 2 বা প্রাক-মাইটোটিক ফেজ):
    • বিভাজনের জন্য প্রয়োজনীয় আরও প্রোটিন সংশ্লেষিত হয় (যেমন: মাইক্রোটিউবিউল (টিউবুলিন নামক প্রোটিনের পলিমার দিয়ে গঠিত) তৈরি হয় spindle fiber গঠনের জন্য)।
    • কোষটি আকারে ক্রমাগত বৃদ্ধি পায়।
    • DNA প্রতিলিপি সঠিকভাবে হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করার জন্য আরেকটি চেকপয়েন্ট থাকে এই ফেজের শেষে।

২। এম-ফেজ (M-Phase) বা মাইটোটিক ফেজ

এটি কোষ বিভাজনের প্রকৃত পর্যায়, যা আবার দুটি অংশে বিভক্ত: ক্যারিওকাইনেসিস (নিউক্লিয়াসের বিভাজন) এবং সাইটোকাইনেসিস (সাইটোপ্লাজমের বিভাজন)। ক্যারিওকাইনেসিসের ধাপগুলোই হল মাইটোসিস কোষ বিভাজন পর্যায়।