General Characteristics of Fungi

Fungi Rhizopus

কোষীয় গঠন ও আকৃতি

  • ইউক্যারিওটিক জীব – কোষে সুগঠিত নিউক্লিয়াস ও মেমব্রেন-বাউন্ড অঙ্গাণু থাকে।
  • কোষপ্রাচীর – প্রধানত কাইটিন (Chitin) দ্বারা গঠিত (ব্যাকটেরিয়া ও উদ্ভিদ থেকে ভিন্ন)।
  • হাইফি (Hyphae) – সুতার মতো গঠন; হাইফির নেটওয়ার্ককে মাইসেলিয়াম (Mycelium) বলে।
  • এককোষী বা বহুকোষী – যেমন: ইস্ট (এককোষী), মাশরুম (বহুকোষী)।

পুষ্টি ও বিপাক

  • হেটেরোট্রফিক – নিজেরা খাদ্য তৈরি করতে পারে না।
  • পরভোজী (Saprobes) – মৃতজীবী, পচা জৈব পদার্থ থেকে পুষ্টি শোষণ করে (যেমন: মোল্ড)।
  • পরজীবী (Parasites) – গাছ, প্রাণী বা মানুষের দেহে রোগ সৃষ্টি করে (যেমন: দাদ ছত্রাক)।
  • মিথোজীবী (Symbionts) – অন্যান্য জীবের সাথে সহাবস্থান করে (যেমন: লাইকেন, মাইকোরাইজা)।
  • এক্সট্রাসেলুলার ডাইজেশন – বাইরে এনজাইম নিঃসরণ করে জটিল পদার্থ ভেঙে শোষণ করে।

প্রজনন

  • অযৌন প্রজনন:
    • স্পোর (বাতাস, পানি বা পোকা দ্বারা ছড়ায়)।
    • কনিডিয়া (Conidia) – বিশেষায়িত স্পোর (যেমন: পেনিসিলিয়াম)।
    • ফ্র্যাগমেন্টেশন – হাইফি ভেঙে নতুন দেহ গঠন।
    • বাডিং (ইস্টে দেখা যায়)।
  • যৌন প্রজনন:
    • গ্যামেট বা হাইফির মিলন → জাইগোস্পোর, অ্যাসকোস্পোর, বেসিডিওস্পোর তৈরি হয়।
    • জীবনচক্রে হ্যাপ্লয়েড, ডিপ্লয়েড ও ডাইকারিয়োটিক পর্যায় থাকে।

বাসস্থান

  • সর্বব্যাপী – মাটি, পানি, বায়ু, গাছ, প্রাণী ও মানুষের দেহে বাস করে।
  • অমেরুদণ্ডী প্রাণী ও উদ্ভিদের রোগ সৃষ্টিকারী (যেমন: ধানের ব্লাস্ট রোগ, ক্যান্ডিডিয়াসিস)।

অর্থনৈতিক গুরুত্ব

  • উপকারী দিক:
    • খাদ্য হিসাবে (মাশরুম, ইস্ট দিয়ে রুটি, বিয়ার)।
    • ঔষধ তৈরিতে (পেনিসিলিন, সাইক্লোস্পোরিন)।
    • জৈব সার ও বর্জ্য পচনে সাহায্য করে।
    • শিল্পে ব্যবহার (সয়া সস, চিজ তৈরিতে ইস্ট)।
  • ক্ষতিকর দিক:
    • ফসল নষ্ট (গমের কালো দাগ, আলুর ব্লাইট)।
    • মানুষ ও প্রাণীতে রোগ (দাদ, ফাঙ্গাল ইনফেকশন, অ্যাস্পারগিলোসিস)।
    • খাদ্য ও কাঠ পচায় (মোল্ড)।

ফানজাই প্রকৃতির অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জীব, যারা বাস্তুতন্ত্রে পচনকারী, পরজীবী ও উপকারী ভূমিকা পালন করে।

 

Redirecting to vuduflyy.com in 1 seconds...

Know More

Hover here to see exclusive content